পণ্য: কাঁচা হলুদের গুঁড়া/কাচা হলুদ গুড়া
ওজন: 200 গ্রাম
কাঁচা হলুদের গুনাগুন ও উপকারিতা ভারতীয়দের অজানা নয়। হাজারও বছরের বেশি সময় ধরে ভারতীয়রা নিয়মিত হলুদ খান। রান্নায় হলুদ নিয়মিত খাওয়া হয়। তবে অনেকেই হলুদের গুনাগুন বলতে শুধু স্কিনের উপকারে কাজে লাগে বলে জানেন। কাঁচা হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে তার গুন অপরিহার্য বলে জানান চিকিৎসকেরা। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হলুদ।
১ মুখের রঙ উজ্জ্বল্যে : মুখের লালিত্য বজায় রাখার জন্য মসুর ডাল ও কাঁচা হলুদ বেটে দুধের সর মিশিয়ে মুখে ও হাতে মাখতে হবে।
২ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন এবং ১ মাস ধরে ব্যবহার করুন।
২. কোলস্টেরল কমাতে : হলুদ রক্তের কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি তারা অবশ্যই প্রত্যহ সকালে দুই টুকরো কাঁচা হলুদ খাবেন।
৩. ব্রণ নিরাময়ে : সকালে খালি পেটে ২ টুকরো কাঁচা হলুদ ও ২টা নিমপাতা একসঙ্গে (আখের গুড়সহ) মিশিয়ে খেলে ব্রণ সেরে যায় আবার দেহের রঙও উজ্জ্বল হয়।
৪. যকৃত ও হৃৎপিন্ড -কে রক্ষা করতে : গবেষণায় জানা গেছে, হলুদের রয়েছে রক্ত জমাটবিরোধী উপাদান, যা রক্তনালির ভেতরের রক্ত জমাট বাধাদান করে। তাই হলুদ ব্যবহারে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৫. ওজন কমায়: অনিয়ন্ত্রিত ওজন বৃদ্ধি অনেক রোগ ডেকে আনে। নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় ফলে ওজন কমে। হলুদ কারকিউমিন নামের উপাদান বর্তমান, যা ওজন কমাতে উপযোগী।
৬. অ্যালার্জি বা আমবাতে : খাদ্য বিশেষে অনেকের দেহে চাকা চাকা হয়ে ফুলে উঠে, চুলকায়, লাল বা গোলাপি রঙ ধারণ করে যাকে বলা হয় আর্টিকোরিয়া বা আমবাত। এ ক্ষেত্রে নিমপাতার গুঁড়া ১ ভাগ, কাঁচা হলুদ শুকানো গুঁড়া ২ ভাগ এবং শুষ্ক আমলকী গুঁড়া ৩ ভাগ একসঙ্গে মিশিয়ে ১ গ্রাম মাত্রায় সকালে খালি পেটে ২ সপ্তাহ খেলে শিগগিরই অসুবিধাগুলো নিরাময় হবে।
৭. ক্যান্সার প্রতিরোধে : আধুনিক গবেষণায় জানা গেছে, কাঁচা হলুদের কারকামিন নামক উপাদানের ক্যান্সারনিরোধী ক্ষমতা আছে। কারকামিন টিউমারের কোষকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে বাধা প্রদান করে থাকে। প্রতিদিন অন্তত ২ বা এক টুকরা কাঁচা হলুদ খেলে উপকার পাবেন।
৮. গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে : কাঁচা হলুদ, কমলালেবুর খোসা ও নিমপাতা একসঙ্গে পানি দিয়ে বেটে গায়ে মেখে এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেললে গায়ের রঙ উজ্জ্বল হয় এবং চর্ম রোগ প্রতিরোধ হবে। এটা সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন লাগাতে হবে।
৯. শরীরের দাগ উঠাতে : গায়ে হাম বসন্ত বা চুলকানির দাগ থাকলে কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা একত্রে বেটে কয়েক দিন লাগালে দাগ উঠে যাবে ও চামড়া ফর্সা হবে।
১০. হাঁপানিতে : হলুদ গুঁড়া ১ চামচ, আখের (ইক্ষু) গুড় ১ চামচ ও খাঁটি সরিষার তেল ১ চামচ একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে জিহ্বা দিয়ে মাঝে মাঝে চেটে খেলে উপশম হয়ে কিছুটা আরাম হয়।
১১. চুলকানি নিরাময়ে : কাঁচা হলুদ বাটা ও নিমপাতা বাটার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল মিশিয়ে গোসলের পূর্বে শরীরে লাগিয়ে একটু অপেক্ষা করে ৩-৪ দিন গোসল করলে চুলকানি চলে যাবে।
১২. ব্যাকটেরিয়া বিস্তারে বাধা সৃষ্টি : ত্বকের কোনো রকম ঘা বা ক্ষতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করলে সেখানে হলুদের প্রলেপ দিলে হলুদ ব্যাকটেরিয়ার চারদিকে শক্ত আবরণ সৃষ্টি করে, যা এদের বৃদ্ধি ও বংশবিস্তার করতে বাধা দান করে। হলুদের ব্যাকটেরিয়া নিরোধী গুণাবলির জন্য ক্ষতস্থান ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে রক্ষা পেয়ে থাকে।
খাদ্য পরিপাক ও অন্ত্রের পরজীবী বিনাশ।
