১. খনিজের ভাণ্ডার
তুলসীর বীজে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। আর এই দুই উপাদান কিন্তু হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে অত্যন্ত কার্যকরী।
এছাড়া এই বীজে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই দেহে আয়রনের ঘাটতি মেটানোর কাজে এর জুড়ি মেলা ভার। এই কারণেই অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত রোগীরা নিয়মিত তুলসীর বীজ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
২. পেট থাকবে সুস্থ-সবল
বাঙালিদের মধ্যে পেটের সমস্যায় ভুক্তোভোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। আপনিও কি দলে নাম লিখিয়েছেন? তাহলে সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে তুলসীর বীজ খাওয়া হল মাস্ট। আসলে এই বীজে রয়েছে ফাইবারের প্রাচুর্য। আর এই ফাইবার কিন্তু অন্ত্রে উপস্থিত ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে পারে। তাই নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদান খেলেই গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট খারাপের মতো একাধিক সমস্য়ার ফাঁদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। সুতরাং পেটের সমস্যায় ভুক্তোভোগীরা এই বীজ খাওয়া শুরু করতে আর দেরি করবেন না।
৩. কমবে কোলেস্টেরল
হাই কোলেস্টেরলে আক্রান্ত রোগীদের জন্য তুলসীর বীজ অত্যন্ত উপকারী। আসলে এই বীজে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। আর এই ফাইবার রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি রয়েছে, তাঁরা অবশ্যই নিয়মিত তুলসীর বীজ খান। এই কাজটা করতে পারলেই হাতেনাতে মিলবে সুফল।
৪. ক্যানসার থাকবে দূরে
ক্যানসারের মতো ঘাতক অসুখকে দূরে রাখতে চাইলে ডায়েট প্ল্যানে তুলসীর বীজকে জায়গা করে দিতেই হবে। আসলে এই বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিন্তু দেহের ক্ষতিকর কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এমনকী শরীরে তৈরি হওয়া টক্সিনকে বাইরে বের করে দেওয়ার কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার।
৫. হার্টের বন্ধু
এই বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড। আর এই উপাদান হার্টের স্বাস্থ্য ফেরানোর কাজে একাই একশো। তাই হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে চাইলে অবশ্যই তুলসীর বীজ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতেই উপকার পাবেন।